ঢাকাSunday , 4 February 2024
  • অন্যান্য

কালিয়াকৈরে ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শককে পেটালেন হোটেল কর্মচারীরা, গ্রেপ্তার-৬

news
February 4, 2024 3:33 am । ১৩৩ জন
Link Copied!

কালিয়াকৈরে ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শককে পেটালেন হোটেল কর্মচারীরা, গ্রেপ্তার-৬

তুষার আহম্মেদ

কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক খাবার হোটেলের মালিকের ছেলে ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের এক পরিদর্শককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায়। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই হোটেলের ৬ কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।আহত ওই পুলিশের নাম মোঃ মেহেদী হাসান (৪২)। তিনি গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত আছেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মেহেদী হাসান কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থাকেন। শুক্রবার তার বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনি দায়িত্ব পালন শেষে রাত ১০টার দিকে ইমা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে যান। ওই সময় তিনি সিভিল পোশাকে থাকায় হোটেল মালিকের ছেলে বা কর্মচারীরা কেউ জানতো না তিনি পুলিশ কর্মকর্তা। রাতের খাবারের জন্য তাকে রুটি, ডাল ও হালিম পরিবেশন করা হয়। ডাল ও হালিম থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সেই খাবার তিনি ফেরত দেন। ওই খাবার ফেরত দিলেও হোটেলের ক্যাশে থাকা হোটেল মালিকের ছেলে অলিউল্লাহ ওরফে শান্ত তার কাছে বিল দাবি করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে অলিউল্লাহ কাচের গ্লাসের কিছু অংশ ভেঙ্গে তার মুখে আঘাত করে। এ সময় হোটেলে থাকা অন্য কর্মচারীরাও ওই পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সফিপুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে হোটেল মালিকের মেয়ের জামাইসাইফুল্লাহ সুমন, মমিনুল ইসলাম, শাফায়েত হোসেন, আব্দুল রাজ্জাক, জাহিদ হোসেন ও রাকিবকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার মূল হোতা অলিউল্লাহ পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।আহত ট্রাফিক পরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, ক্যাশে থাকা ছেলেকে আমি জিজ্ঞেস করেছি নষ্ট থাকায় আমি হালিম ও ডাল খাইনি তারপরও কেন বিল ধরেছেন? তখন সে আমার সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে গ্লাস ভেঙ্গে আমার মুখে আঘাত করে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটার মুল হোতা হোটেল মালিকের ছেলেকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।